আজ চৈত্র সংক্রান্তি, বিদায় বঙ্গাব্দ ১৪২৪
মহাকালের অতল গহ্বরে হারিয়ে যাচ্ছে আরেকটি বাংলা বছর বঙ্গাব্দ ১৪২৪। আজ ৩০ চৈত্র, ১৪২৩ বঙ্গাব্দের শেষ দিন। চৈত্র সংক্রান্তি। ‘জীর্ণ পুরাতন যাক ভেসে যাক, মুছে যাক গ্লানি’ বিদায়ী সূর্যের কাছে এ প্রণতি আজ জানাবে বাঙালি।
পূর্ব দিগন্ত থেকে ছুটে আসা ভোরের নরম আলো রাঙিয়ে দেবে পৃথিবী, স্বপ্ন, প্রত্যাশা আর সম্ভাবনায় সূচিত হবে নতুন বছর। পুরোনো বছরকে বিদায় আর নতুনকে বরণ করে নিতে দেশজুড়ে চলছে নানা প্রস্তুতি।
বাংলা বছরের সমাপনী মাস চৈত্রের শেষ দিনটিকে ‘চৈত্র সংক্রান্তি’ বলা হয়। লৌকিক আচার অনুযায়ী, এ দিনে ব্যবসায়ী সম্প্রদায় বিশেষ করে বিদায় উৎসব পালন করে। দোকানপাট ধুয়ে মুছে বিগত বছরের সব জঞ্জাল-অসূচি দূর করে পহেলা বৈশাখের দিন খোলা হবে ব্যবসায়িক হিসেব-নিকেষের নতুন খাতা। সে উৎসবের লোকায়ত নাম ‘হালখাতা’।
সারা বছরের খরিদ্দারদের কাছে বকেয়া টাকা তুলতে বছরের এই দিনটিকে অন্তর্ভুক্ত করে নেয়ার রেওয়াজ কতশত বছরের তা রীতিমতো গবেষণার বিষয়।
এছাড়াও চৈত্র সংক্রান্তি উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বসেছে মেলা। বাংলাপিডিয়া সূত্রে জানা গেছে, গৃহস্থরা সবাইকে নতুন জামাকাপড় দিত এবং উন্নতমানের খাওয়া-দাওয়ারও আয়োজন করত। মেলার কয়েকদিন এভাবে তারা সবাই মিলে আনন্দ উপভোগ করত।
বর্তমানে শহুরে সভ্যতার ছোঁয়া লাগায় আবহমান গ্রামবাংলার সেই আনন্দমুখর পরিবেশ আর আগের মতো নেই। তবে এখন শহরাঞ্চলের নগর সংস্কৃতির আমেজে চৈত্র সংক্রান্তি উৎসব বা মেলা বসে, যা এক সর্বজনীন মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে।
নানা আয়োজনে আজ যখন চৈত্রসংক্রান্তির পার্বণ, তখন একই সঙ্গে দুয়ারে কড়া নাড়ছে বাঙালির সবচেয়ে বড় অসাম্প্রদায়িক উৎসব পহেলা বৈশাখ। নতুন বছর ১৪২২-কে স্বাগত জানাতে পুরো বাংলাদেশ এখন উন্মুখ।
প্রতিক্ষণ/এডি/শাআ